৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর সুবিধা নিয়ে রিটের রায় আজ

সাতমাথা ডেস্ক:
    সময় : বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ
  • ১৮০ Time View

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর বেতনের অংশ কেটে নেয়ার বিপরীতে আর্থিক ও অবসর সুবিধা নির্দিষ্ট সময়ে দেয়ার বিষয়ে করা রিটের রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

তিনি জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রবিধানমালা-১৯৯৯-এর প্রবিধান-৬ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা প্রবিধানমালা-২০০৫-এর প্রবিধান-৮ অনুযায়ী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মূল বেতনের দুই শতাংশ এবং চার শতাংশ কেটে নেয়ার বিধান ছিল। যার বিপরীতে শিক্ষকদের ট্রাস্টের তহবিল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের কিছু আর্থিক সুবিধা দেয়া হতো। কিন্তু বিগত ১৯ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে এসব প্রবিধানমালা সংশোধনপূর্বক চার শতাংশ ও ছয় শতাংশ করে দু’টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়ার বিপরীতে তাদের কোনো বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেয়ার বিধান করা হয়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মাউশি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এপ্রিল ২০১৯ মাসের বেতন থেকে চার শতাংশ ও ছয় শতাংশ টাকা যথাক্রমে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টে জমার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়। ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে ক্ষুব্ধ হন এবং ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মাউশির জারি করা প্রজ্ঞাপনটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় এবং বিবাদিদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

পরবর্তীতে নতুন একটি প্রবিধানমালা জারি করে শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরের ছয় মাসের মধ্যে কেটে নেয়া ছয় শতাংশ ও চার শতাংশ সর্বমোট ১০ শতাংশ অর্থের বিপরীতে সুবিধা দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে স্যাপ্লিমেন্টারি রুলের জন্য আবেদন দাখিল করেন। শুনানির পর বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং বিচারপতি মো: আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন এবং বিবাদিদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved ©  doiniksatmatha.com