গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হাতে থাকা ৪০ ইসরাইলি পণবন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগারে আটক ৯০০ বন্দীকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে ইসরাইল। তবে তারা এই শর্তে মুক্তি পাবে যে তারা গাজা উপত্যকায় তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবে না, বরং অন্য কোনো দেশে থাকতে হবে। এছাড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আলোকে উত্তর গাজায় দেড় লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেয়া হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এ ধরনের একটি প্রস্তাব ইসরাইল বিবেচনা করছে বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এই প্রস্তাবটি দিয়েছেন। ইসরাইল যে ৯০০ বন্দীকে মুক্তি দেবে, তাদের ১০০ হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। এমনটা জানিয়েছে ইসরাইলি মিডিয়া ওয়ালা নিউজ সাইট।
এক ইসরাইলি কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়েবসাইটটি জানায়, ‘পশ্চিম তীর বা গাজায় যাওয়ার অনুমতি প্রদানের বলে ইসরাইল তাদেরকে অন্য দেশে বহিষ্কার করতে চায়। তাছাড়া ইসরাইল নির্দিষ্ট বন্দীর মুক্তির ক্ষেত্রে ভেটো দাবি করছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাছ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামাসের হাতে প্রায় ১৩০ ইসরাইলি বন্দী রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তারা যেকোনো ধরনের বন্দী মুক্তির আগে গাজা উপত্যকায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলের সব সৈন্য প্রত্যাহারের দাবিও করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বরে আগের চুক্তিতে ৮১ ইসরাইলি এবং ২৪ বিদেশীর মুক্তির বিনিময়ে ২৪০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পেয়েছিল। এদের মধ্যে ৭১ জন নারী এবং ১৮৯ জন ছিল শিশু।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলার পর থেকে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাসের হামলায় প্রায় ১২ শ’ জন নিহত হয়েছিল। এদের মধ্যে ইসরাইলি ট্যাংক এবং হেলিকপ্টারের গুলিতে ইসরাইলের ১,১৩৯ সৈন্য নিহত হয়েছিল বলে হারেৎস জানিয়েছিল।
আর এরপর ইসরাইল পুরো শক্তিতে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় ৩৩,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার জন। এছাড়া ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
যুদ্ধ এখন ১৮৬তম দিনে পড়েছে। গাজার ৮৫ ভাগ লোক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। ৬০ ভাগ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। তাদের খাদ্য, পানি এবং ওষুধের মারাত্মক সঙ্কট রয়েছে।
সূত্র ; মিডল ইস্ট মনিটর
Leave a Reply