গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, ভিন্নমত দমন ও সরকার বিরোধীদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করতে এবং হয়রানির উদ্দেশ্যেই গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনে আল-রাজী কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ঈদ ও নববর্ষের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই সরকারের ফ্যাসিস্ট আচরণ শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আপনারা সবাই লক্ষ্য করেছেন ২০২২ সালে ছাত্রলীগের এক নেতার করা ভিত্তিহীন একটি মামলায় চট্টগ্রামের আদালত গতকাল নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিলুপ্ত হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন হলেও ২০২২ সালে নুরুল হক নুরের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের কথিত মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলাটি করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার।
তিনি বলেন, একতরফা ডামি করতে নির্বাচনের পূর্বে বিরোধীদের গণগ্রেফতার, রাতে আদালত বসিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের শাস্তি এবং তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সরল স্বীকারোক্তিই প্রমাণ করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ন্যায় আদালতও এখন সরকারের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাও কার্যত এখন সরকারের হাতে বাক্সবন্দি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও ড. ইউনুসও যার ভুক্তভোগী।
রাশেদ বলেন, দেশ এক গভীর রাজনৈতিক ও ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে সরকারি দলের নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, লুটপাট, অর্থপাচারে জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট। অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে কেএনএফের মতো সশস্ত্র গোষ্ঠীর উত্থান।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বরাবরই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ, সীমান্তে হত্যা ও ৫৪ অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা না দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের জনগণ যখন দেশে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ভারতীয় পণ্য বর্জন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
Leave a Reply