ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সমবায় সমিতি লিমিটেডকেও একটি কাগজবিহীন স্মার্ট সংগঠনে রূপান্তর করতে চাই এবং সেজন্য প্রযুক্তিগত সকল সহযোগীতা আইসিটি ডিভিশন থেকে আমরা দেবো।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সিংড়া পৌরসভার কনফারেন্স রুমে সিংড়া উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি (ইউসিসিএ) লিমিটেড-এর ৪৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমবায় সমিতি ও সদস্যগণ অনেক পণ্য উৎপাদন করেন এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তসহ বিদেশেও রপ্তানি করেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে আমরা বাংলাদেশের পোস্ট অফিসগুলোকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে গড়ে তোলার প্রকল্প নিয়েছি। আমাদের সমবায়ের সদস্যরা খুব সহজেই তাদের পণ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন এবং আপনারা চাইলে ই-কমার্স সেবাও নিতে পারেন। তাই আমি সিংড়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতিকে অনুরোধ করবো, আপনাদের অব্যবহৃত জায়গাটার সর্বোচ্চ ব্যবহার কিভাবে নিশ্চিত করা যায় তার একটা সমন্বিত পরিকল্পনা করে উপস্থাপন করুন। আমাদের সিংড়ায় কোন কোল্ড স্টোরেজ নাই, তাই এই পরিকল্পনায় কোল্ড স্টোরেজ, খাদ্য গুদাম, সাইলো ও শপিং সেন্টারসহ একটা গ্রোথ সেন্টারের পরিকল্পনা করলে সেটা সমবায় ও জনগণের জন্য লাভজনক হতে পারে।
পলক বলেন, সিংড়া কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির প্রায় ৫ বিঘা জায়গা অব্যবহৃত পরে আছে, একইভাবে বাংলাদেশের প্রতিটা উপজেলায় এমন অনেক অব্যবহৃত যায়গা পরে আছে। কিন্তু এই জায়গাগুলো যদি আমরা যথার্থ ব্যবহার করি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করি তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকার খাদ্য পণ্য উৎপাদন বা ব্যবসায়িক সুবিধা পাবো। তার একটা ছোট উদাহরণ হলো আমাদের চলনবিলের তরুণ প্রজন্মের স্মার্ট কর্মসংস্থানের ঠিকানা চলনবিল স্মার্ট সিটি। চলনবিল স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার পর সার্ভে করে দেখি এখানে সরকারি প্রায় ১৫ একর জায়গা বেদখল হয়ে আছে। সেই দখলকৃত জায়গাকে দখলমুক্ত করে আমাদের তরুণ প্রজন্মের সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য নির্মাণ করেছি চলনবিল স্মার্ট সিটি। এই জায়গা যদি কিনতে হতো, তাহলে কয়েকশ কোটি টাকা ব্যয় করতে হতো সরকারকে। একইভাবে আমাদের মডেল মসজিদ ও কেন্দ্রিয় শ্মশানসহ অনেক স্থাপনাই আমরা সরকারি অব্যবহৃত জায়গা দখলমুক্ত করে নির্মাণ করেছি। আপনাদের মূল্যবান আমানত ভোট প্রদান করে আমাকে মহান জাতীয় সংসদে পাঠানোর পর এভাবেই স্বল্প সম্পদের যথার্থ ও সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে সিংড়ার উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
পলক আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু শহরের নয়, গ্রামের উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি সমবায়ের ভিত্তিতে জমির দ্বিতীয় মালিকানা নিশ্চিত করার বিষয়টাও জাতীয় সংবিধানে উল্লেখ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে আজ ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ ও ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ এর মতো গ্রামীণ ও জনবান্ধব বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামবাংলার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিংড়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও ইউসিসিএ এর চেয়ারম্যান এড. ওহিদুর রহমান শেখ, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
Leave a Reply