সাংবাদিক বৃষ্টিই অভিশ্রুতি শাস্ত্রী

সাতমাথা ডেস্ক:
    সময় : সোমবার, মার্চ ১১, ২০২৪, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
  • ২০৩ Time View

সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট থানায় পৌঁছানোর পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর আগে সকালে ঢাকার রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া জানান, বেইলি রোডের ঘটনায় নিহত বৃষ্টির ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট এসেছে, তবে নাজমুলের রিপোর্ট এখনো আসেনি। তার রিপোর্ট আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে তার বলে, সিআইডি থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রোববার রাতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে তার ডিএনএ।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি। তবে তার মরদেহ নানা জটিলতায় হস্তান্তর করা হয়নি মরদেহ।

তার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা থাকায় ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মরদেহ রাখা হয়েছে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট মর্গের ডিপ ফ্রিজারে। তবে আজ তার মরদেহ হস্তান্তর করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মেয়ের মৃত্যুর খবরে ওইদিনই কুষ্টিয়া থেকে ছুটে ঢাকায় আসেন বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) বাবা সবুজ শেখ। মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে এর পরই বাধে বিপত্তি। সহকর্মী ও পরিচিতরা দাবি করেন, নিহত তরুণীর নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী।

পরে পরিচয় নিশ্চিত হতে ১ মার্চ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম। এনআইডি অনুযায়ীও ওই সাংবাদিকের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে।

প্রসঙ্গত, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আগুনের ভয়াবহতা ও মৃত্যুর পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে তিনবার চিঠি দেয়া হয়েছিল; কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved ©  doiniksatmatha.com