‘জালিয়াতির নির্বাচনের’ পর দেশে শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই জালিয়াতির নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ এবং সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শাসক গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো চুক্তির জন্য তার দল আলোচনা করছে না। একই সঙ্গে আসন্ন সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী কেনাবেচা হবে বলেও তিনি পূর্বাভাস দিয়েছেন। খবর জিও টিভির।
ইমরান খান বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিশোধ নিয়েছেন ভোটাররা। কিন্তু তার ফল উল্টে দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, আরও একবার ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের কড়া সমালোচনা করলেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
তিনি বলেন, নির্বাচনে মানুষের ম্যান্ডেটকে চুরি করে তাদের আশাকে হতাশায় পরিণত করা হয়েছে। আমার সব পূর্বাভাস সত্য প্রমাণিত হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে আদিয়ালা জেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপের সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন। পাকিস্তানে প্রতিটি বিষয় এখন মিথ্যার ওপর চলছে।
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিতে আসা ইমরান খান আরও বলেন, ইচ্ছা করে ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে দূরে থেকেছে পিটিআই।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ভোটাররা তাদের পরিবর্তনের বাসনায় ভোট দিয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। কিন্তু তা বদলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল পাকিস্তানে সিনেট নির্বাচন। এতেও প্রার্থী কেনাবেচা হবে বলে তিনি মনে করেন। অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে আইনজীবীদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
Leave a Reply