বিপিএলে কুমিল্লাকে চমকে দিলো সিলেট। আসর জুড়ে ধুঁকতে থাকা দলটি হারিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ৮৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারলেন না লিটন দাস। তবে ভয়ের কিছু নেই, হেরেও প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। বিপরীতে জয় পেলেও প্লে-অফে যাওয়া হচ্ছে না সিলেটের।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৭ করে সিলেট। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান পর্যন্ত তুলতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফলে ১২ রানের জয় পায় সিলেট।
ব্যাটে বলে পারফর্ম করে ম্যাচসেরা বেনি হাওয়েল।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা আশানুরূপ ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান তুললেও হারায় জোড়া উইকেট। ইমরুল কায়েস ৫ বলে ৩ ও তাওহীদ হৃদয় ফেরেন ১৫ বলে ১৭ করে। তবে এই রানেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে উঠে আসেন হৃদয়, ৩৫৮ রান তার।
তবে জনসন চার্লস আর লিটন দাস মিলে শঙ্কামুক্ত করেন দলকে। জুটিতে যোগ করেন ৫৭ বলে ৭৯ রান। যেখানে চার্লসের ব্যাটে আসে ২১ বলে মাত্র ১২ রান। মঈন আলিকেও থিতু হতে দেননি বেনি হাওয়েল, ৫ বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
শেষ ৩ ওভারে কুমিল্লার দরকার ছিল ৪৮ রান। মাঠে তখন ফিফটি তুলে নেয়া লিটন ও আন্দ্রে রাসেল। তবে তারাও পারেননি কুমিল্লাকে জিতিয়ে আনতে। শেষ ওভারে ফেরেন দু’জনেই। লিটন ৫৮ বলে ৮৫ ও রাসেল আউট হন ১৪ বলে ২৩ রান। তানজিম সাকিব নেন ৩ উইকেট
এর আগে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল সিলেট। জাকির হাসান ও কেনার লুইসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫ ওভারে ৪০ রান। এরপর রানের গতি খানিকটা কমে আসে। এরই মাঝে কেনার লুইসকে ফেরান মুশফিক হাসান। ২৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
তবে সিলেটকে বড় ধাক্কাটা দেন রিশাদ। নিজের প্রথম ওভারে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন এই লেগ স্পিনার। ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলিকে। শান্ত ১৮ বলে ১২ ও ইয়াসির ফেরেন ৫ বলে ২ রানে। ১১ ওভারে ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারায় সিলেট।
সিলেটকে রান এনে দেয় পঞ্চম উইকেট জুটি। মোহাম্মদ মিথুনকে একপাশে রেখে রান বাড়াতে থাকেন বেনি হাওয়েল। ফিফটি তুলে নেন তিনি, অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৬২ রানে।
Leave a Reply