বগুড়ার শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শাহাদাত হোসেন নামের এক শ্রমিক। এই যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গেলেও তার পা ভেঙে গেছে। ফলে বেশকিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন। কিন্তু পা-দিয়ে হেটেচলার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় আয়-রোজগার একেবারে বন্ধ। তাই চার সদস্যের ওই পরিবারটি অনাহারে-অর্ধহারে দিন কাটাচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে তার দুর্বিষহ অবস্থানের কথা জানিয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের নিকট লিখিতভাবে সাহার্য্যের আবেদন জানান। শ্রমিক শাহাদাত হোসেনের হৃদয়স্পর্শী সেই আবেদনটি নজরে পড়ে জেলা প্রশাসকের।
পরে স্থানীয় প্রশাসনকে অসহায় ওই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর পক্ষ থেকেও খাবার পাঠানো হয়। সোমবার (০১এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পাঠানো খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিম। তিনি উপজেলার সীমাবাড়ি ইউনিয়নে ররোয়া গ্রামস্থ শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বভার গ্রহন করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহাদাত হোসেন পেশায় একজন মোটর শ্রমিক। নিজের কোনো জায়গা-জমি নেই। নানীর দেওয়া চার শতক জমিতে টিনের ঝুঁপড়ি ঘরে কোনো রকমে বসবাস করছেন। সম্প্রতি মহাসড়ক পারাপারের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। তার পা ভেঙে যায়। অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারছিলেন না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম শাহাদত হোসেন আহত হওয়ায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্ত্রী-দুই ছেলের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না। খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছিলেন তারা। এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসক মো সাইফুল ইসলাম বরাবর তিনি সাহায্যের জন্য আবেদন করেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজউল করিম বলেন, জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শাহাদত হোসেনের পরিবারের নিকট পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্যারের নির্দেশে আহত ব্যক্তির চিকিৎসার সব দায়িত্বভার নিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
Leave a Reply