দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি চোটের কারণে খেলতে পারবেন না সেটা জানা ছিল আগেই। ছিলেন না পাওলো দিবালাও। চোটের কারণে ছিটকে যান এজেকুয়েল প্যালাসিওস ও মার্কোস সেনসি। তাতেও আর্জেন্টিনাকে থামানো যায়নি। এল সালভাদরের বিপক্ষে ৩-০ গোলে দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ভোরে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে এল সালভাদরের বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। তবে মধ্য আমেরিকার দেশটিকে পাত্তাই দেয়নি আলবিসেলেস্তারা। দলের ৩টি গোল করেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, এনজো ফার্নান্দেজ ও জিওভানি লো সেলসো।
ম্যাচে কতোটা দাপট ছিল আর্জেন্টিনার, তা স্পষ্ট হয় অন্য একটা পরিসংখ্যানে। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনার ৮০ শতাংশ বল দখলের বিপরীতে এল সালভাদর দখলে বল ছিল মাত্র ২০ শতাংশ সময়। আর্জেন্টিনা ২৪টি শট নিয়ে ১৪টি লক্ষ্যে রাখলেও, এল সালভাদর শট নিয়েছে মাত্র ২টি।
ম্যাচের ১৬তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পাঠানো বলে দুর্দান্ত হেডে বল জালে জড়ান ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। ২৬তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো, তবে ডি মারিয়ার জোরাল শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঠেকিয়ে দেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক।
৪২ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে ব্যবধান ২-০ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। দলীয় আক্রমণ থেকে পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করেননি এ চেলসি তারকা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার একের পর এক আক্রমণের বিপরীতে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিল সালভাদর। দ্বিতীয়ার্ধেও দৃশ্যপটে কোনো বদল আসেনি। আগের মতোই চাপ ধরে রেখে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। ৫২তম মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজের পাস ধরে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন টটেনহ্যাম হটস্পারের মিডফিল্ডার লো সেলসো।
তিন গোলে এগিয়ে গিয়েও আক্রমণের ধার কমায়নি আর্জেন্টিনা। দুই প্রান্ত এবং মাঝমাঠের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে একের পর এক আক্রমণে যায় তারা। তবে এরপর আর কোনো গোলের দেখা পায়নি আলবিসেলেস্তারা। তিন গোলের জয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় আর্জেন্টিনাকে।
Leave a Reply