মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সরকার আক্রোশ বা প্রতিহিংসার বসে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। এ ঘটনাকে জাতির অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করে মঈন খান বলেছেন, মেজর হাফিজ যাতে সরকারি দলে যোগ দেন, সে জন্য একটা ছলনা ও পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে কারাবন্দী হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বনানীর বাসায় তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে মঈন খান কথাগুলো বলেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমি মনে করি এই সরকারের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে (হাফিজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো) অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে মঙ্গলবার। এটা দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং এর নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা আমাদের জানা নেই। শুধু এ কথাই বলতে পারি, সরকার আক্রোশ বা প্রতিহিংসার বসে এসব করছে।’
মঈন খান বলেন, একদলীয় সরকার আজকে এখানে (ক্ষমতায়) আছে। আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য কোথায় নামতে পারে, তার প্রমাণ মঙ্গলবার হয়েছে। তারা মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে একটা মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে গ্রেপ্তার করেছে। এর পেছনে সরকারের যে চাপ, বিভিন্ন রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারি দলে যোগ দেওয়ার একটা ছলনা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আজকে শুধু রাজনীতি নয়, দেশের অর্থনীতি এবং সমাজব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে, পুলিশ প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, সংসদ এবং নির্বাচন কমিশনসহ সবকিছু প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। এখান থেকে বের হওয়ার একটি মাত্র উপায়, আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।’
সেখানে উপস্থিত হাফিজউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী দিলারা হাফিজ তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা মামলা নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। সাক্ষীদের কোনো পাত্তা নেই, আলামতও ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার স্বামীর বয়স এখন ৭৯ বছরের বেশি। উনি খুব অসুস্থ, সম্প্রতি ওনার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে।’
দিলারা হাফিজ বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ওনাকে (হাফিজউদ্দিন আহমেদ) পিজিতে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বনানীর বাসা থেকে আবদুল মঈন খান রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সদ্য কারামুক্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে দেখতে যান। সেখানে শামসুজ্জামান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।
Leave a Reply