নওগাঁর মান্দায় শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রারকে ৩ঘন্টা তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টার পর্যন্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে অধ্যক্ষের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
পরে প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর সৈয়দ আলীর মধ্যস্থতায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের একাধিক সূত্র জানায়, উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য শহীদ কামারুজ্জামান টেক্সট্রাইল ইনস্টিটিউটের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর নামের তালিকা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। অনলাইনে করা আবেদনগুলো কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে কোনো কারণে এন্ট্রি হয়নি। এতে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ভুল সংশোধনের নাম করে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১১০ টাকা করে নেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। এর পরও তাদের নামে উপবৃত্তির টাকা আসেনি। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী সরকারি অর্থ সহায়তার ৪হাজার টাকা করে বঞ্চিত হয়েছে।
শিক্ষার্থী অন্তর জানায়, উপবৃত্তির টাকা না পেয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। পরে তারা রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামানকে অধ্যক্ষের কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। এঅবস্থায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সৈয়দ আলী সঠিক সমাধানের অশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে রেজিস্ট্রারকে ছেড়ে দেয়।
প্রতিষ্ঠানের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর সৈয়দ আলী বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শান্ত হলে তালা খুলে মুক্ত করা হয় রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামানকে।
রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, সারা দেশে দুটি প্রতিষ্ঠানে এ জটিলতা হয়েছে। এটি নিরসনের জন্য চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১১০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অধিদপ্তরে পাঠানো শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা এন্ট্রি না হওয়ায় জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। খুব শিগগিরই এটির সমাধান হবে।
Leave a Reply