মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আগামী ২ জুন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ আজ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ এই মামলার অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক ছিল। তবে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যরা আদালতে হাজির হন। আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম; প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান; পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী; আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ; গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান; সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান; শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানকে আসামি করা হয়। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল।
এ মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পারভীন মাহমুদ জামিনে আছেন। বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
দুদক জানায়, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে সিদ্ধান্ত হয় ব্যাংক হিসাব খোলার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৮ মে একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয় বলে জানানো হয়।
Leave a Reply