বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো একই কায়দায় জনগণের সকল অধিকার হরণ করে দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল অধিকার হরণ করেছে। তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’
রিজভী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশিক্ষার্থীদের যে আত্মদান সেখানেই তো লুকিয়ে আছে আমাদের স্বাধীনতার শক্তি। আমাদের সবকিছু ঘিরেই রয়েছে বায়ান্নের সেই চেতনা।’
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আজিমপুরে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাবেক আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক। পরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রিজভী।
এসময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রিজভীর সঙ্গে ছিলেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি বিএনপির পক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার হারা। দেশের জনগণ ভোট দিতে পারছেন না। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে ভোটাধিকার দাবি করে আসছে।
আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২/৫৩ বছর পরও কেনো এই দাবি করতে হচ্ছে? কারণ যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের মাতৃভাষার অধিকার হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে একই কায়দায় আমাদের দেশীয় হানাদার বাহিনী জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সকল অধিকার হরণ করেছে। তারা একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে। সুতরাং আজকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর যে এক দফা আন্দোলন সেই আন্দোলনের অন্তর্নিহিত শক্তি হলো বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের এই ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের আগামীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বিজয় করতে হবে।’
Leave a Reply