‘ফেসবুক’, গোটা বিশ্বের চোখের মণি। যদিও বর্তমানে ‘ফেসবুক’-এর লেজুর ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপও মেটার অংশ। যেগুলি ছাড়া সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই এখন অন্ধ। বিশ্বকে ফেসবুকের মতো একটি অ্যাপ উপহার দিয়ে ডিজিটাল যুগে রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। কিন্তু লোকটি এতটাই সাদামাটা যে, তাকে দেখে একেবারেই বোঝার উপায় নেই যে, বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।
তাই তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবন সবটা নিয়ে মানুষের আলাদাই কৌতুহল থাকে। যার মধ্যে একটি তার পারিশ্রমিক। গোটা মেটা সংস্থার মালিক তিনি। তাই তার সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। কিন্তু নিজের সংস্থাতে কত টাকা পারিশ্রমিক পান মার্ক জুকারবার্গ, ভাবছেন হয়তো তিনি তো মালিক, যা লাভ হবে সবটাই তার। মার্ক জুকারবার্গের নির্দিষ্ট স্যালারি আছে। প্রধান নির্বাহী মানেই তার বেতন লাখ লাখ ডলার হবে, সেটাই হয়তো ভাবছেন। কিন্তু বাস্তবে তা নয়, মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মার্ক জুকারবার্গের বছরে বেতন মাত্র ১ ডলার।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের তথ্যমতে, জুকারবার্গের বেতন বছরে ১ ডলার। আর তার বার্ষিক আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার আর্থিক পরিমাণ প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার। তবে তিনি প্রতি বছরে ১ ডলার বা ১১০ টাকা বেতন পেলেও মেটার কাছ থেকে বছরে ২৭৪ কোটি টাকার বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে থাকেন। আর তার এই অর্থের বেশিরভাগটাই তার নিরাপত্তার জন্য ব্যয় হয়। এছাড়াও ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহারের জন্য তিনি বছরে প্রায় ১০ লাখ মার্কিন ডলার পান।
শুধু মার্ক জুকারবার্গ নয়, অ্যাপলের স্টিভ জবস, গুগলের ল্যারি পেইজ, ওরাকলের ল্যারি এলিসনের মতো আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তারাও ১ ডলার বেতন পান। তবে মার্ক জুকারবার্গ বছরে ১ ডলার বেতন পেলে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা গড়ে প্রতিবছর ৭ লাখ ৬৫ হাজার ডলার বেতন পান। ২০২৩ সালে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ মেটা মোট আয় করেছিল ১৩ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার। সুতরাং ২০২৩ সালের আয় অনুযায়ী ৭০ কোটির বেশি লভ্যাংশ পেয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ।
Leave a Reply