বগুড়ায় স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় সোয়া কোটি টাকার স্বর্ণ চুরি হয়েছে। শুক্রবার রাতে শহরের নিউ মার্কেটে আল তৌফিক জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রতি দিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান স্বর্ণের দোকান মালিকসহ কর্মচারীরা। গত শুক্রবার মার্কেট বন্ধ ছিল। ওই রাতের কোন এক সময় চোরের দল দোকানের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। শনিবার সকালে দোকান খোলার সময় কর্মচারীরা তালা ভাঙ্গা দেখে মালিককে খবর দেয়। পরে জুয়েলার্সের মালিক এসে পুলিশে খরব দেন।
খবর পেয়ে বগুড়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় দোকানে সাজানো প্রায় ১০০ থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র যার মুল্য সোয়া কোটি টাকার মত। দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিল না। চুরির ঘটনা পুরো মার্কেট ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মার্কেটের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আতংকে রয়েছেন।
উক্ত জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে ম্যানেজার জানায় দোকানের তালা ভাঙ্গা ও দোকান খোলা। এছাড়াও ছোট-ঘাট স্বর্ণের জিনিসও পড়ে আছে। খবর পেয়ে আমি দোকানে আসি। পরে মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে সাথে নিয়ে থানা পুলিশকে অবগত করি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি দাবী করেন, আনুমানিক ১০০ থেকে ১২০ ভরি স্বর্ণ চুরি হয়েছে যার মূল্য সোয়া কোটি টাকা। দোকানের ম্যানেজার ধলু মিয়া জানান, ওই রাতে দোকানে যে সোনার জিনিসপত্র রেখে গেছিলাম সেগুলোর একটাও নেই। দোকানে এসে শুধু সিন্দুকে যে সোনা ছিল সেটাই পেয়েছি। বাকি স্বর্ণগুলো চুরি হয়ে গেছে।
বগুড়া নিউ মার্কেটের সধারণ সম্পাদক শামীম সরকার জানান, মার্কেটে পর্যপ্ত সিকিউরিটি দরকার। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যদি সিকিউরিটির টাকা দিতো তাহলে সিকিউরিটি আরো বাড়ানো যেত। আমরা মার্কেটে সকল ব্যবসায়ীদের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বার বার বলেছি। আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর হবো।
বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) ফইম উদ্দিন জানান, নিউ মার্কেটে আল তৌফিক জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরাও তদন্ত শুরু করেছি।
Leave a Reply