পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর বগুড়ার ধুনটে প্রায় তিন মাস পর মায়ের কোল ফিরে পেল এক লাখ টাকায় বিক্রি করা সেই নবজাতক শিশুটি।
শনিবার রাতে ধুনট থানা পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন পর নবজাতক শিশুটিকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মা আয়েশা খাতুন ।
জানাগেছে, ধুনট সদর ইউনিয়নের মাটিকোড়া গ্রামের মৃত আশাদুল ইসলামের মেয়ে আয়শা খাতুন (১৬) বেলকুচি গ্রামে তার নানা মৃত কপিল উদ্দিনের বাড়িতে নানী আছিয়া বেগমের সঙ্গে বসবাস করে। তার স্বামী সোহেল ঢাকায় গার্মেন্ট এ চাকরি করে। গত ২৮ নভেম্বর’২৪ আয়শার প্রতিবেশি নানা বেলকুচি গ্রামের রফিকুল ইসলাম শাহীন তাকে শেরপুর উপজেলার মাহবুব ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরপর ওই ক্লিনিকে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন আয়শা খাতুন। কিন্তু জ্ঞান ফেরার আগেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের যোগসাজসে শিশুটিকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন বলে রফিকুল ইসলাম শাহীন ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আয়েশা।
এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারী আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে বেলকুচি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম শাহীন সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করেন। ক্রেতা বা দত্তক বা পালক নেয়া ব্যক্তি ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের লিটনের ছেলে ইয়াসির আরাফাত ও জেসমিন বেগম ।
এ ব্যাপারে স্কুল শিক্ষিকা জয়ীতা ফৌজিয়া বীথি বলেন, শিশুটি গত আড়াই মাসে ঠিকমত খেতে পারেনি এবং যত্ন না নেয়ায় সে খুবই দূর্বল হয়ে পড়েছে। তাই তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেমস মল্লিকের সহযোগিতায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া এই মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ধুনট থানার ওসি সৈকত হাসান বলেন, জানামতে শিশুটিকে দত্তক দেয়া হয়েছিল। এখানে বিক্রির ঘটনা ঘটেনি।
Leave a Reply