সারাদেশের মত উত্তর জনপদের প্রবেশমুখ বগুড়াতেও অসহনীয় গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। কাকডাকা ভোর থেকেই সূর্য্যের চোখ রাঙানি চলছে বেশ ক’দিন ধরেই। দিনভর বযে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। মাঝে মাঝে বাতাসের ছোঁয়া অনুভূত হলেও তীব্র রোদে সেই বাতাসও আগুনে রূপ নিয়েছে। ফলে ঘরের বাইরে পা ফেলা অনেকটাই অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার বিকেলে বগুড়ার ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার বেলা ৩টায় বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, বগুড়ায় শুক্রবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা বগুড়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল।
তিনি জানান, তীব্র তাপদাহ চলমান থাকবে। এজন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে, তীব্র তাপদাহের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে। ঘন ঘন ঠান্ডা পানি পান করেও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছেনা।
বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা চরম কষ্টে রয়েছেন।
এরই মাঝে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় পথচারী ও সাধারন মানুষের জন্য পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এপেক্স ক্লাব অব বগুড়া নামের একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিদিন দুপর ২টায় সাতমাথায় পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শহরের রিক্সা চালক ও পথচারীদের মাঝে দুইদিন যাবত ঠান্ডা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরন করা হয়েছে। ছাত্রদল ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের পক্ষ থেকেও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।
পথের দিশা ভাসমান স্কুলের উদ্যোগে বস্তির শিশুদের মাঝে ঘোল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানুষের পানির পিপাসা মেটানোর জন্য পানির বোতল বিতরণ করছে।
Leave a Reply