‘যারা একাত্তর সালে স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি, যারা বাংলাদেশের ক্রমাগত উন্নয়ণকে দমিয়ে রাখতে চায়, তারাই মূলত: কোটা আন্দোলনের নামে বাংলাদেশকে অকার্যকর করতে চেয়েছিলো। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুস্কৃতিকারীরা সারাদেশের ন্যায় বগুড়াতেও সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। রাস্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
বৃস্পতিবার বিকেলে বগুড়ায় চলমান আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন শেষে স্বরষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এসব কথা বলেন। তিনি সাড়ে চারটার দিকে হেলিপ্টারে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে নামেন। এরপর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, সদর ভূমি অফিসসহ সাতমাথা এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, বগুড়া জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংসদসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর পর ধীরে ধীরে পরিবেশ স্বাভাবিক হচ্ছে। যখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে তখনই কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, যেখানে আ’লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, দলীয় কার্যালয়, সরকারী স্থাপনা সেখানেই ধ্বংষাত্নক কর্মকান্ড চালানো হয়েছে। আসলে যারা এদেশ চায়নি তারাই এ হামলা করেছে। এসব ঘটনার সাথে জড়িতরা কোনভাবেই ছাড় পাবে না, বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, ছাত্রদের মূল দাবী পূরন হয়েছে। অন্যসব দাবী বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিশন কাজ শুরু করেছে। কিন্তু দাবী পূরনের পর ধন্যবাদ না দিয়ে অন্যান্য দাবী নিয়ে ছাত্ররা আবার আল্টিমেটাম দিচ্ছে। আমি ছাত্রদের পড়াশুনার টেবিলে বসার আহবান জানাই।
Leave a Reply