আগামী চার মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সারা দেশে নিয়োগ এই প্রক্রিয়া চলমান। রোববার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষকদের উদারচিত্তে শিক্ষাদানের আহ্বান জানিয়ে সচিব ফরিদ আহমদ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট সিটিজেন অন্যতম উপাদান। আর এ স্মার্ট সিটিজেন তৈরির আঁতুড়ঘর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই লক্ষ্যে গুণগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ৩০ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১: ৩১–তে দাঁড়িয়েছে। ৩৯টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এডিপি বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রথম সারিতে। প্রায় সব ডেভেলপমেন্ট পার্টনার প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে কাজ করছে।
দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় যথেষ্ট অবকাঠামোর কাজ হয়েছে। আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়নকাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নে যথাসময়ে কাজ শেষ করার জন্য নজরদারির প্রয়োজন।
Leave a Reply