সাতমাথা ডেস্ক: মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জনের মধ্যে ১২০ জনের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাদের হস্তান্তর করে কক্সবাজারের ইনানী জেটিঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজে তোলা হয়েছে।
এসময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী ও মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ দুই দেশের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিয়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কক্সবাজারের ইনানীতে নৌ-বাহিনীর জেটিঘাটে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে করে নেওয়া হবে গভীর সাগরে। যেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমার নৌ-বাহিনীর আরেকটি জাহাজ। সেই জাহাজের মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত যাবেন মিয়ানমারের নাগরিকরা।
বিজিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিজিবির সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় এসে গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের জাহাজে করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি বিজিপি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের ইনানীর নৌবাহিনীর জেটিঘাটে আসেন।
ইনানী জেটিঘাট থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে হস্তান্তর করা হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়। যুদ্ধের মধ্যে বিদ্রোহীরা বিজিপির কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়ি দখল করে নিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে। এ সময় তাদের নিরস্ত্র করে ঘুমধুমের একটি স্কুলে বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়। পরে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয় টেকনাফে।
Leave a Reply