নিয়ামতপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়িঘর ও দোকান  ভাংচুর, পুলিশ মোতায়েন

নুরুল ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি:
    সময় : সোমবার, মার্চ ২৫, ২০২৪, ৩:০০ অপরাহ্ণ
  • ১২৩ Time View
নিয়ামতপুরে পূর্ব শত্রুতা ও জমিজমার জেরে উভয় গ্রপের (মেদনী ও খোঠ্ঠা) রাত-ভোর দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে আট জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও ভাংচুর করা হয়েছে দোকান ঘর, পিকাপ, সিএনজি ও বাড়িঘর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে সোমবার সকালে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের আড্ডা বাজার ও শেরপুর গ্রামে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন মেদনী গ্রুপের আমিনুল, জাকির, আব্দুস সামাদ, শুকুর উদ্দীন, মনিরুল, টিপু ফারুক ও খোঠাঠা গ্রপের জয়নাল।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খোঠ্ঠাা বংশের সাবির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি চার বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করতেন। ওই জমির মালিকানার দাবীতে মেদনী বংশের তরিক মাষ্টার আদালতে মামলা করলে বিগত কয়েক বছর ধরে পতিত পড়ে থাকে ওই জমি। সম্প্রতি আদালতের ডিগ্রী পেয়ে ওই জমির দখলে যান তরিক মাষ্টার। এ নিয়েই উভয় গ্রপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সরেজমিনে আড্ডা বাজারে দেখা গেছে, দু’গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ফলে বেশ কিছু দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে। এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে ওই  দোকানের মালামাল। এমন পরিস্থিতিতে পুরো আড্ডা বাজার বন্ধ রয়েছে। ফের সংঘর্ষের আশংকায় দোকানীরাও ভয়ে তাদের দোকানপাট খুলতে পারছেননা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে পুলিশি সহায়তায় কিছু দোকান খুললেও বেশীর ভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে।
মেদনী বংশের ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক জানান, সামান্য ঘটনা নিয়ে রাতে একটু গন্ডগোল হয়েছিল দু’পক্ষের। পরে পুলিশ এসে দু’পক্ষকেই বাড়ি পাঠায়। কিন্তু রাতেই শেরপুরে অবস্থিত তাদের বাড়িতে গিযে অতর্কিত হামলা করে খোঠ্ঠা বংশের সদস্যরা। তাদের হামলায় তিনিও গুরুতর আহত হন। আর হাত-পা ভাঙ্গা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো ৬/৭ জন।
অপর দিকে খোঠাঠা বংশের ভুক্তভোগী খাইরুলের ছেলে রুবেল জানান, তাদের চায়ের স্টল ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় স্টলে থাকা টিভি ও মালামাল ভাংচুর করে । সেরাফতের স্ত্রী অফরোজা বলেন, তাদের বাড়ি ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষরা। এসময় তিনি প্রান ভয়ে বাড়ির এক কোনে লুকিয়ে ছিলেন।
ঘটনা জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোত্তালিব হোসেন বাবর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর উভয়পক্ষের মাঝে বিষয়টি নিরসনে চেষ্টা করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ওসি মাইদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। কিছু দোকান ভাংচুরও হয়েছে। আবারো সংঘর্ষের আশংকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved ©  doiniksatmatha.com