নওগাঁর নিয়ামতপুরে আশা এনজিওর একটি শাখা অফিসের আবাসিক ভবনের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আব্দুল খালেক (৪৫) নামের এক কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ছাতড়া বাজারে আশা(এনজিও) তে অফিস সহায়ক ও কুক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আব্দুল খালেক উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর(খরপা) এলাকার মৃত শাখাওয়াত আলীর ছেলে। রবিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাখা ব্যবস্হাপক আব্দুল্লাহ আল ফারুক।
স্হানীয়, শাখা অফিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে অফিসের সবাই কিস্তি আদায়ের লক্ষ্যে চলে যায়। দুপুরের রান্নার জন্য বাজার করে অফিসের রুমে আসে খালেক। শাখা ব্যবস্হাপক এসে আব্দুল খালেকের নাম ধরে বারবার ডাকলেও কোন সাড়া না পেয়ে মুঠোফোনে কল দেন। কিন্তু ফোন বাজলেও ফোন রিসিভ না করায় স্হানীয়দের নিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে ফ্যানের সাথে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাকে। পরে ওই ভবনের মালিক খালেকুজ্জামান তোতাকে ফোন দিলে তিনি এসে লাশ নামাতে বলেন। তবে পুলিশ আসার আগেই ঝুলন্ত মৃতদেহ নামানোয় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ জিম্মায় নেয়। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মান্দা সার্কেলের (এএসপি) জাকিরুল হোসেন জাকির ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম।
অপর এক ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটির জেরে স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেলে রাগ ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে চন্ডু বাসকি(৫১) নামের এক কৃষক আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইদুল ইসলাম বলেন, এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কৃষক মৃত্যুর ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
Leave a Reply