বগুড়ার নন্দীগ্রামে বালু বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৯জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মারামারির ঘটনায় পুলিশ ৫ জন কে আটক করেছে।
থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ভাটগ্রামের মৃত শামছুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান কুন্দারহাট আইলপুনিয়া এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করছিল। এসময় গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের, বাবলুর ছেলে রাহী আহমেদ, সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে রাজু আহমেদ মোস্তাফিজার রহমানের নির্মানাধীন বাড়ির কাছে গিয়ে নির্মান কাজে ব্যবহৃত বালু সরবরাহ করতে চায়। সেসময় মোস্তাফিজার রহমান বালু নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে উভয়ের মধ্য কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত থাকা মোস্তাফিজার রহমানের শ্যালক মো: ওহাবকে তারা মারপিট করে।
ঘটনার এক পর্যায়ে পরদিন গত শনিবার বেলা ১১টায় তারা আবারও লাঠিশোঠা নিয়ে মোস্তাফিজারের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে খবর পেয়ে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং সংঘর্ষে ৯জন আহত হয়। আহতরা হলেন বিশা গ্রামের আব্দুল ওহাব ও বেলাল হোসেন, অন্য আহতরা হলেন, ভাটগ্রামের আব্দুল কাদের, রাহী, রাজু, ছাফী বেগম, বাবলু ও আশিক।
উক্ত মারামারির ঘটনায় মোস্তাফিজার রহমান বাদী হয়ে গত শনিবার নন্দীগ্রাম থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জন কে আটক করে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোনেন আজম বলেন, মারমারির ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ৫ জন কে আটক করা হয়েছে।
Leave a Reply