এফ শাহজাহান : বাংলাদেশি হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায় হত্যার ঘটনায় এবার ভারতীয় ফ্যা*সি*স্ট*দের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নয়া আস্ফালন দেখাচ্ছেন ফেরারী তসলিমা নাসরিন।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে ড. ইউনুসকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ থেকে পলাতক এই লেখিকা। তিনি বলেছেন ড. ইউনুস ক্ষমতা থেকে চলে গেলেই বাংলাদেশে হিন্দুরা টিকে থাকবে ।
লেখক তসলিমা নাসরিন ভবেশ চন্দ্রের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, ‘হিন্দু নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়কে বাড়ি থেকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছি কারা খুনি।
তসলিমা অরো লিখেছেন, ইউনুস হিন্দু হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেন না। তিনি প্রচার করেন যে হিন্দুরা ঠিক আছে এবং হিন্দুদের উপর নির্যাতনের সমস্ত প্রতিবেদন মিথ্যা, গুজব বা ভারতের বানানো।
ড. ইউনুষের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ তসলিমাির দাবি, ইউনুস ক্ষমতায় থাকলে অচিরেই দেশ হিন্দুশূন্য হয়ে পড়বে। হিন্দুদের বাঁচাতে হলে ইউনুসকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।’
তসলিমার এই আস্ফালনই প্রমান করে যে ফ্যা*সি*স্ট হাসিনাকে বাংলাদেশে পূনর্বাসনের জন্য ভারত থেকে অবিরাম ষড়যন্ত্রের ডালপালা গজাচ্ছে। আর সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভারত এখন তসলিমার মতো এস্কর্ট গার্লকেও ব্যবহার করছে।
ঘটনাচক্রে, শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিলো।
১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত তসলিমা দীর্ঘদিন কলকাতায় থাকলেও ২০০৭ সালে তার বই দ্বিখণ্ডিত নিয়ে সেখানে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেখান থেকে পালিয়ে তসলিমা দিল্লির দাসি হিসেবে দিল্লতে আশ্রয় নেন।
এর কিছুদিন পর পুলিশি নিরাপত্তায় দিল্লি এবং জয়পুরে কাটিয়ে ভারত ছেড়ে ইউরোপে পালিয়ে যান তিনি। পরে আবার দিল্লিতে ফিরে আসেন। এখন সেখানেই বসবাস করেন তসলিমা।
Leave a Reply