বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিনা সংগ্রামে মুক্তি আসে না। এ জাতিকে মুক্তির জন্য আরেকটিবার বুক সটান করে দাঁড়াতে হবে।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের আমন্ত্রণে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছেন আমরা তাদের শত্রু নই। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে হেদায়েত দেন। আমাদের ওপর আঘাত এলে তার প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমার আছে। কেউ পায়ে পারা দিয়ে বিবাদ করতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সরকারি দলের লোকেরা রাজনীতি করার অধিকার রাখলে দেশের সকল নাগরিক সাংবিধানিকভাবে সে অধিকার রাখে। আল্লাহ যেন আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে মুক্তি দান করুন।
তিনি বলেন, আজকে বিগত আটটি বছর আমরা সকলে মিলে ইফতার মাহফিলের সুযোগ পাইনি। আজকের ইফতার আয়োজন নিয়েও প্রতিকূলতা ছিল।
তিনি আরো বলেন, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে যারা জীবন দিয়েছেন আল্লাহ যেন তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। অসংখ্য সহকর্মী জেলে গিয়েছেন জীবন দিয়েছেন। সাত বছরের শিশুও রেহাই পায়নি। আমরা মনে করি সবকিছুর একটা সীমা আছে। কেউনি চূড়ান্ত ক্ষমতা দখল রাখতে পারে না।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় দলটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, আনম শামসুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, শাহজাহান চৌধুরী, নূরুল ইসলাম বুলবুল, মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, আবদুর রব, মোবারক হোসাইন, আবদুর রহমান মূসা, আবদুস সবুর ফকির, অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ড. রেজাউল করিম, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, মো: দেলাওয়ার হোসাইন, আব্দুল জব্বার, মাহফুজ, জহির উদ্দিন বাবর, কেরামত আলী, মরহুম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী ও শামীম সাঈদী, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।
রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ড. কর্নেল অলি আহমদ, বিএনপির ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, মো: আবদুস সালাম, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আতাউর রহমান ঢালী, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জহির উদ্দিন স্বপন, অপর্ণা রায়, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, বিএনপির মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী ও শাহ আহমেদ বাদল, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ ন্যাপের এমএন শাওন সাদেকী, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নূরুল হক নূর, অপর অংশের ফারুক হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এবি পার্টির যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, এনডিএম‘র ববি হাজ্জাজ, বাংলাদেশ ন্যাপের অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন, অধ্যাপক ড. আবদুর রব, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক আতাউর রহমান বিশ্বাস, অধ্যাপক আমিনুর রহমান মজুমদার, অধ্যাপক শামসুল আলম, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাছির জামাল, ডিইউজের সভাপতি মো: শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলমসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুন হোটেল সোনারগাঁওয়ে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনদের নিয়ে ইফতার করেছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন।
Leave a Reply