বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় রাত হলেই কোনো না কোনো এলাকার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি ঘটনা ঘটে চলেছে। মিটার চুরির পর চোরেরা ফেলে যাচ্ছে একটি চিরকুট। চিরকুটে মোবাইল নাম্বারের সাথে লেখা মিটার চোর। সেই নাম্বারে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৮ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত টাকা পাঠানোর পর পাওয়া যায় মিটার।
তবে এবার চিরকুটের সেই নাম্বারের সূত্র ধরেই মিটার চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারসহ সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে আদমদীঘি থানা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টায় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব পাশে জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি বৈদ্যুতিক মিটারসহ চুরি যাওয়া সরঞ্জামাদী উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতে বগুড়া সদর থানার নামুজা ইউনিয়নের টেংরা বাজার এলাকা থেকে সাদনা পাড়ার সমিরুদ্দিনের ছেলে মোমিন (২২) ও ছাতিয়ানগ্রাম থেকে কাচু মন্ডলের ছেলে মোমিনকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়।
বুধবারে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের গভীর নলকূপে এক রাতে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার, বিহিগ্রাম, মিতইল, বেজার ও কড়ই বাজার গ্রামে আরও ১৪ টি মিটার চুরির পর চরিকুটে মোবাইল নাম্বার লিখে ফেলে যায় চোরোরা। পরবর্তীতে চোরেদের চাহিদামত টাকা দিলেই পাওয়া যায় সেই চুরির মিটারগুলো। এ নিয়ে গত ১৪ মার্চ দেশ রূপান্তর অনলাইনে “ বিকাশে টাকা পাঠালেই ফিরে আসে চুরি যাওয়া মিটার” এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়ে চড়ে বসে পুলিশ। যার পেক্ষিতে মিটার চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে আদমদীঘি থানা পুলিশ।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, গভীর নলকুপের মিটার চুরির অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে মিটার চোর সনাক্ত করা হয়। এরপর গ্রেফতারকৃতদের তথ্যমতে চুরি যাওয়া একটি বৈদু্যুতিক মিটার, একটি কাটাউট ও একগুচ্ছ তার উদ্ধার করা হয়েছে।
Leave a Reply