গ্রেপ্তারের একদিন পর জামিন পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও ইউটিউবর ইলিয়াস হোসেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিউইয়র্কের কুইন্স ফৌজদারি আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জামিনের আদেশ দেন।
জানা গেছে, জামিনের সময় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামলার বাদীকে হয়রানি, জবরদস্তি ও ভীতি সৃষ্টিতে দুটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ সময় আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ইলিয়াস। এরপর তিনি মুক্তি পান।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকা থেকে ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে জ্যামাইকার ১১৩ প্রেসেন্ট হাজতে নেওয়া হয়।
সম্প্রতি মামলার বাদীর বাড়িতে বোমা হামলার হুমকিসহ আদালত অবমাননার অভিযোগে ইলিয়াসের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিকে হাজিরের নোটিশ) জারি করে পুলিশ। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মিল্টন জ্যাকব ও প্রিমা রব্বনীর করা মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাকে আটক করা হয়। তবে ছেড়ে দেওয়া হয় ছয় ঘণ্টা পর। ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। এরপর নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইলিয়াসকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার লাগায়।
অভিযোগ রয়েছে, ২০ জানুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী মিল্টন জ্যাকবকে ফোন করে তার বাড়িতে বোমা নিয়ে আসবেন বলে হুমকি দেন ইলিয়াস। এরপর জ্যাকব মিল্টন ও প্রিমা রব্বনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করেন ইলিয়াস, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। তবে, ভিডিওটি মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে সিভিল ও ক্রিমিনাল আইনে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিল্টন ও প্রিমা রব্বনী। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
এছাড়া মিতু হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ধানমন্ডি থানায় ইলিয়াস হোসেন ও বাবুল আক্তারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৮ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন।
Leave a Reply