গাজায় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যকার উত্তেজনায় সম্পূর্ণ একটি বাণিজ্য-যুদ্ধ শুরু হবার ঝুঁকি রয়েছে। এর ফলে রাজনৈতিক মতবিরোধ সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে লালিত দু দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে পারে।
মঙ্গলবার তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৫৪ ধরণের উত্পাদিত পণ্য ইসরাইলে রফতানির ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই সব পণ্যের মধ্যে রয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত, নানান রকমের নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত পণ্য, জেটের জ্বালানি এবং রাসায়নিক সার।
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন ইসরাইলের ব্যাপারে তাদের অতীত অবস্থান অনুযায়ী আংকারা রাজনৈতিক সমস্যাকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকে আলাদা করে দেখে। তবে সাম্প্রতিক ঘোষণায় মনে হচ্ছে যে তাদের নীতির পরিবর্তন ঘটেছে।
ইসরাইলে ইনস্টিচিউট ফর ন্যাশনাল সেকুইরিটি স্টাডিজ (আইএনএসএস)-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো গ্যালিয়া লিন্ডেনস্ট্রস ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ‘তুরস্কের এই সিদ্ধান্তকে ইসরাইলে নেতিবাচক অর্থে দেখা হচ্ছে। কারণ এ দু’টি দেশ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী এবং এখন পার্যন্ত আঙ্কারা রাজনৈতিক স্তরের উত্তেজনা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে পৃথক রেখেছে।’
এই বিধি নিষেধ আরোপের ঠিক এক দিন আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, ইসরাইল তুরস্ককে গাজায় বিমানের সাহায্যে ত্রাণ সামগ্রী ফেলতে বাধা দিয়েছে এবং অস্ত্র বিরতি এবং ঐ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে ত্রাণ সামগ্রী না পৌঁছানো অবধি ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন।
সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেসের একজন সিনিয়র ফেলো অ্যালান মাকোভস্কি তুরস্কের এই রফতানি নিষেধাজ্ঞাকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রতি দেশটির ইতিবাচক সাড়া হিসেবে দেখছেন।
Leave a Reply