বাজারের ভিড় ঠেলে গোশতের দোকানে ঢুকতেই লোকটার সাথে ধাক্কা খেলাম। তার হাতের পলিথিন ব্যাগে সামান্য কিছু গোশত ছিল। সেটা ফসকে নিচে পড়ে গেল। আধা কিলো হবে সম্ভবত। আমাদের বাজারে লোকটাকে আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না। মুখে সাদা-কালো দাড়ি। জীর্ণশীর্ণ চেহারা। মাথায় উসকোখুশকো চুল। পোশাকআশাকও ময়লা।
গোশতের ব্যাগটা কুড়িয়ে লোকটার হাতে দিই। স্যরি বলে এগোতে যাবো অমনি লোকটি আমার দিকে না তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে, ‘ইটস ওকে- ইয়াং ম্যান! হাউ আর ইউ?’আমি অবাক। এমন সাবলীল ইংরেজি সচরাচর কোনো সাধারণ মানুষকে বলতে দেখিনি। এমন পোশাকে তো নয়ই। দ্রব্যমূল্য, দারিদ্র্য মানুষের মুখের ভাষা ও পোশাকি আভিজাত্য কেড়ে নিয়েছে। মৃদু হেসে করমর্দন করতে করতে বললাম, ‘আই অ্যাম ফাইন।’
এই প্রথম লোকটা আমার মুখের দিকে তাকাল। কী যেন খুঁজছে আমার চোখেমুখে। আমি অপেক্ষা না করে ঢুকে গেলাম দোকানের ভেতর। গোশত নিলাম দু’কিলোর মতো। লোকটা তখনো বাইরে খুঁটির পাশে দাঁড়িয়ে। বের হতেই আমার পিছু নিলো। প্রায় দুই গজ দূরত্ব বজায় রেখে লোকটা হাঁটছে আমার পেছন পেছন। আমি দাঁড়ালাম। লোকটাও দাঁড়াল। আমি হাঁটতে লাগলাম, লোকটাও। এবার পেছনে ফিরে লোকটাকে বললাম, ‘কী ব্যাপার চাচা? কিছু বলবেন?
Leave a Reply