বিপিএলে শনিবার দিনের প্রথম ম্যাচে কাইল মায়ার্সের অলরাউন্ড নৈপূণ্যে সিলেটকে ১৮ রানে হারিয়েছে বরিশাল। বরিশালের ৬ উইকেটে ১৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৫ রান তুলেছে সিলেট।
এই জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল তামিম বাহিনী। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট বরিশালের। বিপরীতে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে সিলেট। ১০ ম্যাচের সাতটাই হারলো তারা।
তামিম ইকবাল জ্বলে উঠতে পারেননি, ইনিংস বড় করতে পারেননি আহমেদ শেহজাদও। পাওয়ার প্লেতেই ফেরেন দু’জনে। তামিম ১৯ ও শেহজাদের ব্যাটে আসে ১৭ রান। দু’জনকেই ফেরান তানজিম সাকিব। দ্রুত ফেরেন সৌম্য সরকারও (৮)। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল।
তবে তিনে নামা কাইল মায়ার্স ও পাঁচের মুশফিকুর রহিম জ্বলে উঠেন। দু’জনের যুগলবন্দীতে আসে ৪৯ বলে ৮৪ রান। মায়ার্স ৩১ বলে ৪৮ করে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ৩২ বলে করেন ৫২ রান। শেষদিকে ঝড়ো ৭ বলে অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদী মিরাজ। ৩ উইকেট নেন সাকিব।
জবাব দিতে নেমে মায়ার্সের তোপে প্রথম ওভারে কোনো রান যোগ না করেই জোড়া উইকেট হারায় সিলেট। ২ বলে ০ রানে হ্যারি টেক্টর ও ৩ বলে ০ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেনি সিলেট, ৯. ৪ ওভারে ৪০ রানের মাঝে হারায় আরো ৪ উইকেট!
বিপদের মাঝে জাকির ফেরেন রান আউট হয়ে ৫ রানে। ৬ বলে ১০ করে সেই মায়ার্সের শিকার মিথুন। এঞ্জেলা পেরেরাকে কেশভ মহারাজ (১৭) ও রায়ান বার্লকে ১০ বলে ০ রানে ফেরান মিরাজ। তখন মনে হচ্ছিল সিলেটের অল আউট হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
তবে সেই অপেক্ষা ফুরোতে দেননি আরিফুল-হাওয়েল জুটি। পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন দু’জনে। তাদের জুটিতে আসে ৫৫ বলে ১০৮ রান। দু’জনেই স্পর্শ করেন ফিফটি। আরিফুল ২৯ বলে ফিফটি করার পর ৩১ বলে ৫৭ রানে ফেরেন। শেষ ওভারে হাওয়েলও ফেরেন ৩২ বলে ৫৩ রানে। তবে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
Leave a Reply