গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় তাদের হাতে বন্দী আরো সাতজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার হামাস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই তথ্য জানায়। এর ফলে ইসরাইলি হামলায় বন্দীদের মধ্যে ৭০ জনের বেশি নিহত হলো।
হামাস এই সাতজনের মধ্যে তিনজনের নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলো চাইম গারশন পেরি, ৭৯; ইয়োরাম ইতাক মেতগার, ৮০; আমিরাম ইসরায়েল কুপার, ৮৫। তারা জানায়, তারা বাকি চারজনের নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকছে। নাম প্রকাশ করা তিনজনকেই ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতর থেকে বন্দী করেছিল হামাস সদস্যরা।
হামাস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানায়, আমরা আগেই ঘোষণা করেছিলাম যে ওইসব লোকের পাহারার দায়িত্বে থাকা আমাদের যোদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, ইহুদিবাদীদের হামলায় তারা এবং তাদের সাথে থাকা বন্দীরাও নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়, তবে সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছি যে আমাদের যোদ্ধা এবং সাত বন্দী নিহত হয়েছে। আর তা হয়েছে ইহুদিবাদীদের বোমা হামলার কারণে।
হামাস জানায়, আমরা নিশ্চিত করছি যে গাজায় ইসরাইলি হামলায় বন্দীদের মধ্য থেকে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
হামাস জানায়, আমরা বন্দীদের জীবন রক্ষা করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে পরিষ্কার যে ইসরাইলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তাদের বন্দীদের হত্যা করছে। আর ইসরাইলি নেতৃত্ব তা করছে, এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য।
হামাস জানায়, তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি, এসব নিহত বন্দীদের মূল্য জীবিতদের সমান। তাদের লাশ নিতে হলে যথাযথ মূল্য দিতেই হবে। আমরা আশা করি, ইসরাইল তাদের লোকদের আর হত্যা করবে না।
শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলার মধ্যেই হামাস এই ঘোষণা দিয়েছে। রমজানের আগেই একটি চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মোটামুটিভাবে প্রতি ইসরাইলি বন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে আটক ১০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার আলোচনা চলছে।
Leave a Reply