ইরানের হামলার জবাবে এবার দেশটিতে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরাইল। গত শনিবার গভীর রাতে ইসরাইলে চালানো হামলার জবাবে এই পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেছে দেশটি। রোববার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিষয়টি জানিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরাইলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।
জবাবে গত শনিবার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে কয়েকশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতের ওই হামলার বিষয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।
এবার ইরানি হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসরাইল। আইডিএফ রোববার রাতে জানিয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও ইসরাইল ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
আইডিএফ বলেছে, পশ্চিমা নেতাদের সতর্কতা সত্ত্বেও যুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রিসভা (ইরানের বিরুদ্ধে) আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক উভয় পদক্ষেপই অনুমোদন করেছে।
ইরানি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ না নিতে। একই সঙ্গে তিনি নেতানিয়াহুকে তার দেশের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে ‘সতর্কতার সঙ্গে ভাবারও’ পরামর্শ দেন।
বাইডেনের পরামর্শ মেনে ইসরাইল যদিও তাৎক্ষণিকভাবে ইরানে আক্রমণ করেনি। তবে ইসরাইল বলেছে, ইরানে নিজের বেছে নেওয়া উপায় ও সময়ে হামলার অধিকার ইসরাইলের আছে। জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে ইসরাইল আরও বলেছে, ইরান ইসরাইলে আক্রমণের মধ্য দিয়ে বিপৎসীমার সব রেখাই অতিক্রম করেছে।
Leave a Reply