বগুড়ার দুপঁচাচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আবু তাহেরকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তুলে এনেছে। বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে নূর মোহাম্মদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান দুপচাঁচিয়া ইসলামীয়া হসপিটা এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বাসায় ফেরার পথে তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া পুলিশ আটক করে। ওই সময় পুলিশ তার সাথে থাকা আরো দুইজনকে আটক করে।
তারা হলেন নূর মোহাম্মদের গাড়ি চালাক আব্দুর রাহিম (১৯) এবং সহযোগী রমজান আলী (৩৬)। তাদের ঠিক কি করণে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে বগুড়া ডিবির ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান (বেলা ১২.৫০ মিনিটে) বলেন, এখন কিছু বলতে পারবো না। উর্দ্ধতনদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে তারপর আমাকে বলার অনুমোতি দিলে আমি জানাবো। মামলা দেয়া হয়েছে কিনা এবিষয়েও তিনি ওই সময় কিছু বলতে রাজি হননি।
নূর মোহাম্মদের স্ত্রী মোহতাদিয়া শামীমা বলেন, আমি সর্ব শেষ সাড়ে দশটায় তাকে অনলাইনে পেয়েছি। তারপর থেকে নেটওয়ার্কসব মোবাইলের সব কিছুই বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানাযায় তাকে পুলিশ আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। সেখানে অনেক রাতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো ঘটে। শামীমা আরো জানান, রাতে ককটেল বিস্ফোরণের সময় পুলিশের সাথে আব্দুর রাহিম এবং সহযোগী রমজান আলীও ছিলেন। তারপর দুপচাঁচিয়া থানায় ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও নূর মোহাম্মদদের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটকের কথা জানায়।
এবিষয়ে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা বিভাগের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান বলেন, এখন কিছু বলতে পারবো না। উর্দ্ধতনদের নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে তারপর আমাকে বলার অনুমোতি দিলে আমি জানাবো। মামলা দেয়া হয়েছে কিনা এবিষয়েও তিনি ওই সময় কিছু বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, নূর মোহাম্মদ একজন পুস্তক প্রকাশক। গার্ডিয়ান পাবলিকেশন নামে ঢাকায় তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ঢাকা থেকে তিনি গত ২৬ মার্চ বগুড়ায় আসেন। বগুড়ায় আসার পর তিনি পরিষদ এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিতেন।
Leave a Reply