দেশের স্বাধীনতার মূল যে আদর্শ সেটিতে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
আজ রোববার সকালে তাঁতি দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতিহা পাঠ ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা আন্দোলনরত আছি। সেই আন্দোলনটা হচ্ছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য একটি নাম বাংলাদেশ। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম পাকিস্তানের এক নায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে। বলেছিলাম পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভিতরে কোনোদিন গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রতিবাদ করেছিলাম, বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের ২২টি পরিবারের বিরুদ্ধে। এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটা হতে পারে না। আমরা এই জন্যে যুদ্ধ করেছিলাম, এক, বাংলাদেশের গণতন্ত্র থাকবে। দুই, এদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনীতির অধিকার নিশ্চিত থাকবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারি আগেই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল, কে কোন সিট থেকে জয়ী হবেন। এদেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে হামলা, সেটি ছিল সরকার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধীদলের ওপর ক্র্যাকডাউন। এটা বিশ্ব মিডিয়া বলেছে। ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে সরকার নতুন করে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ভঙ্গ করেছে। এর ফলে যে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়েছে, সেটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।
চলমান সংগ্রামে শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজপথে থেকে আন্দোলন করার আহ্বান জানান মঈন খান।
হুম