পাঁচ মাসের মাথায় নেতৃত্বে ফিরলেন বাবর আজম। পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
রোববার (৩১ মার্চ) এই তথ্য নিশ্চিত করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এর ফলে বাবরের নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে পাকিস্তান।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবর আজম। ওয়ানডে অধিনায়কের পদ খালি রেখে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির জন্য ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কের পথে হেঁটেছিল পিসিবি।
টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর টেস্টে দায়িত্ব পেয়েছিলেন শান মাসুদ। মাসুদের দায়িত্ব ঠিক থাকলেও শাহিনকে মুক্ত করা হয়েছে। সাবেক নেতার হাতেই সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। কিছু দিন আগে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অধিনায়কত্ব বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্য হলো।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর শাহিনের নেতৃত্বে একটা সিরিজই খেলেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড সফরে সেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এর পর পিএসএলে শাহিনের নেতৃত্বে ভরাডুবি হয়েছে লাহোর কালান্দার্সেরও। গত দুই আসরে এই বাঁহাতি পেসারের নেতৃত্বে শিরোপা জিতলেও এবার ১০ ম্যাচে মাত্র ১টিতে জয় পেয়েছিল লাহোর। এর পরই বিশ্বকাপের আগে শাহিনকে সরিয়ে দেওয়া হলো।
২০১৯ সালে সরফরাজ আহমেদের জায়গায় পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়কের দায়িত্ব পান বাবর আজম। ২০২১ সালে তাকে দেওয়া হয় টেস্টের নেতৃত্ব। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ২০২২ সালে এশিয়া কাপ ও টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে। একই বছর তারা উঠে যায় ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। বাবরের অধিনায়কত্বে সব মিলিয়ে ২০ টেস্টে পাকিস্তানের জয় ১০টিতে। ৪৩ ওয়ানডে জয় ২৬টি এবং ৭১টি টি-টোয়েন্টিতে জয় ৪২টি।
আপাতত পাকিস্তানের কোচের পদটাও ফাঁকা। শেন ওয়াটসন কিংবা ড্যারেন স্যামিকে কোচ হিসেবে চাইলেও তারা কোচ হতে আপত্তি জানানোয় নতুন করে খোঁজ চলছে।
Leave a Reply