বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রায় ২২ বছর ধরে অযত্নে-অবহেলায় পরিতাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে শহীদ মিনার।
এ শহীদ মিনারটি ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদমদীঘির ভাষা সৈনিকসহ সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি শহীদ মিনানের যথাযথ মর্যাদা, পবিত্রতা ও ভাবগাম্ভীর্য রক্ষার বিষয়টি হানি হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ।
উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বাস স্টান্ড এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনার ঘেঁষে গড়ে উঠছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। নানারকম পোস্টার-ব্যানারসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের পোস্টার সাঁটানো আছে ওই শহীদ মিনারে। বাসের জন্য অপেক্ষামান যাত্রীরা, দোকানের ক্রেতারা শহীদ মিনারের উপরই জুতা পায়ে অপেক্ষা করে ও ব্যাগ রাখে।শহীদ মিনারের পাশের ডাবের দোকানী ষাটার্ধ্বো বাবু বলেন, প্রায় ২২ বছর ধরে এই শহীদ মিনারটি পরিতাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২১ শে ফেব্রুয়ারিও কেউ শ্রব্ধা জানাতে আসে না এই শহিদ মিনারে। তবে এই ২২ বছরের মধ্যে দু একবার বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছিল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জানান, ‘আমাদের শহীদ মিনারগুলো যেভাবে অযত্নে পড়ে থাকে তা অবশ্যই অপমানকর। শহীদ মিনার যেখানেই হোক কিংবা যারাই গড়ে তুলুক রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়িত্ব।আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, এই শহীদ মিনারটি পরিতাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আপনি যেহেতু বক্তব্য নিলেন সেহেতু পরবর্তীতে আমরা একটি আলোচনা করে এই শহীদ মিনারটি অপসরণ করার ব্যবাস্থা করবো।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মাহামুদুর রহমান পিন্টু বলেন, অনেক আগে এই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হত এবং মাতৃভাষা দিবসে নানা ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। তবে উপজেলার ভিতরে শহীদ মিনার তৈরি করাই এখন আর ঐ শহীদ মিনারটি ব্যবহার হয় না।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply