সাতমাথা ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গার ফাগুনের আগুনে ভালোবাসার গোলাপ বিক্রি হয়েছে দুই কেজি চালের দামে। প্রতিটি থাই গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। মাথায় পরার ফুলের রিং বিক্রি হয়েছে ১শ থেকে ২শ টাকায়। হাত তোড়ার দাম পড়ছে ১৫০ থেকে ১ হাজার ২শ টাকা।
সোমবার বিকাল থেকে জেলার দামুড়হুদা, জীবননগর, আলমডাঙ্গাসহ শহরের ফুলপট্টিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন ক্রেতারা। কিশোর-কিশোরী, শিক্ষার্থী, কাপল থেকে শুরু করে মধ্যে বয়সি নারী-পুরুষেরাও ভিড় করেন ফুলের দোকানে।
দুই বছর করোনা এবং স্কুল-কলেজ বন্ধের প্রভাব কাটিয়ে এবার ব্যাপক লাভের আশা করেন ব্যবসায়ী ও ফুলচাষিরা।
জেলায় সবচেয়ে বেশি ফুল আসে যশোরের গদখালী ও কালীগঞ্জ থেকে। বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে কিছু ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে বসিয়েছেন অস্থায়ী দোকান। দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি সব ফুল দিয়ে। এসব ফুলের মধ্যে রয়েছে, গোলাপ, রজনীগন্ধা, গেলোডিলাক্স, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, জীবসি, থাই গোলাপসহ নানা ফুলের সমাহারে।
জেলার সব ফুল মার্কেটে প্রতিটি দেশি গোলাপ বিক্রি হয় ৩০ টাকায়, চীনা গোলাপ ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, থাই গোলাপ ১শ থেকে ১৩০ টাকা, মেরিন্ডি গোলাপ ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, জারবেরা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, গ্লাডিওলাস ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, রজনীগন্ধা ১৫ থেকে ২০ টাকায়, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকায়, জিপসি ফুলের মুঠো ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। ফুল দিয়ে তৈরি মাথার রিং প্রতিটি ১শ থেকে ২৫০ টাকা, হাত তোড়া আকারভেদে ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া পছন্দমতো তৈরি ফুলের তোড়া ও ক্রাউন পাওয়া যাচ্ছে ২শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়।
Leave a Reply