গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে অন্যতম তরমুজ। শুধু স্বাদ আর প্রশান্তি নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তরমুজ অনেক উপকারী। এ তরমুজের উৎপত্তি শুরু হয় পশ্চিম আফ্রিকা থেকে। পৃথিবীজুড়ে প্রায় ১০০০ প্রজাতির তরমুজ চাষ হয়। এর মধ্যে চীন প্রায় ৬৭ শতাংশ তরমুজ উৎপাদন করে থাকে। জাপানে সর্বপ্রথম চারকোনা বিশিষ্ট তরমুজ চাষ হয়। ১৯৩৯ সালে জাপান প্রথম বীজহীন তরমুজ উৎপাদন করে। শুধু জাপানে নয়, আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও তরমুজ চাষের উপযোগী অনেক বেশি। তরমুজের মধ্যে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনেয়েটস বেশি থাকার ফলে তরমুজ শরীরের কোষকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। জেনে নেওয়া যাক তরমুজের যত উপকারিতা সম্পর্কে।
অ্যালজাইমার : তরমুজ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, অ্যালজাইমার এবং বিভিন্ন পুরোনো রোগের ইনফ্লামেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
শরীরকে হাইট্রেডেট রাখতে : তরমুজে শতকরা প্রায় ৯২ শতাংশ পানি এবং ফাইবার থাকে। তাই এটি শরীরকে হাইট্রেডেট রাখে।
ত্বক ও চুলের সাহায্যে : তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ থাকার কারণে তরমুজ ত্বক এবং চুলের জন্য খুব উপকারী।
ব্যথা কমাতে : তরমুজের মধ্যে Citrulline থাকার জন্য এটি পেশির ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
সানবার্ন থেকে : তরমুজ সানবার্ন থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
হার্ট অ্যাটাক থেকে : তরমুজ ব্লাড পেশার এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে : তরমুজের মধ্যে কিউকারবিটাসিন E থাকার জন্য তরমুজ ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
পরিপাক ভালো রাখতে : তরমুজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকার জন্য পরিপাক ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তরমুজ সকালে বা রাতে খালি পেটে খাওয়া মোটেও উচিত নয়।
Leave a Reply